অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, চারিত্রিক সনদ, জাতীয় সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ লাগে। এর পর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিভাগ কিংবা বিষয়ের ওপর লিখিত আর মৌখিক পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই সেরাদের সেরাকে চাকরিতে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। এই পদ্ধতিটা নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বরং বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনতে নারীদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতিও চালু আছে। আর সেখানে সরকারি চাকরি পেতে ব্রাজিলে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে নারীদের দরকার হবে কুমারীত্ব!
দেশটির সরকার বলছে, ২৫ বছরের কম বয়সী নারী যাদের বিয়ে হয়নি সরকারি চাকরি গ্রহণের জন্য তাদেরকে অবশ্যই সতীত্বের প্রমাণ দিতে হবে। কুমারীত্ব পরীক্ষা অথবা গাইনি টেস্টের ফলাফলে উত্তীর্ণ হতে পারলেই তবে চাকরি হবে! সম্প্রতি ব্রাজিলের সাওপাওলো অঙ্গরাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের একটি চাকরির জন্য নারীদেরকে ওই দুটি টেস্টের যে কোনো একটির ফলাফল জমা দিতে বলা হয়।
এই কুমারীত্ব পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, এর ফলে নারীদেরকে তাদের সতীত্ব প্রমাণে বাধ্য করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আনা পলা ডে অলিভেরা কাস্ত্রো নামে এক নারী আইনজীবী বলেন, ‘এটা নারীর অধিকার হরণ করে। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নারী গোপন রাখার অধিকার রাখে। এ ধরণের তথ্য চাওয়া খুবই অদ্ভূত।’
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় সরকার এই আইনটি জারি করে। সরকারের কয়েকজন মুখপাত্রও সরকারের এই আইনটির ব্যাপারে বেশ সমালোচনা করেন। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা সংবিধানের উল্টো।
পাঠকের মতামত